চিকিৎসকের অবহেলায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত দাখিলের জন্য আবেদন করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদার আক্তারের আদালতে আবেদন করেন এ মামলার বাদী নাসরিন আক্তারের স্বামী এস এ আলম সবুজ। এদিন মামলাটির পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তারিখ ধার্য থাকলেও তা করতে পারেনি। এজন্য আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৫ জানুয়ারি নতুন তারিখও ধার্য করেন।মামলায় গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ও ডা. জাফরুল্লাহ ছাড়াও আসামি করা হয়েছে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাসরিন, ডা. শওকত আলী আরমান ও গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেলোয়ার হোসেন এবং সেবিকা শংকরী রানী সরকারকে।এদিকে প্রতিবেদন তাগিদের আবেদনে বলা হয়, পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনেকবার তাগিদ দেওয়ার পরও ধার্য তারিখে তারা কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য বাদীর অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রতিবেদন দাখিল একান্ত প্রয়োজন। এরপর আদালত আগামী ২৫ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন।২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এ ঘটনা ঘটলেও গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার আবেদন করা হয়। মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। মামলার বাদী ও মৃত প্রসূতির স্বামী মো. এস এ আলম সবুজ। তার বাড়ি সাভারের রাজফুলবাড়িয়ার ভাউলিয়া পাড়া গ্রামে।মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করেছেন, গত সেপ্টেম্বরে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসকের অবহেলায় তার মৃত্যু ঘটে। পরে বিষয়টি নিয়ে তারা আইনি ব্যবস্থা নিতে চাইলে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের পক্ষ থেকে ঘটনাটি আপস করার কথা বলা হয়। ডা. জাফরুল্লাহ নিজেও ঘটনাটি আপস করার কথা বলেন। এরপর দফায় দফায় উভয়পক্ষের মধ্যে কথা হলেও আপস হয়নি।বাদীর অভিযোগ, শেষ পর্যন্ত গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল ঘটনাটি আপস না করলে তিনি ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করতে গিয়েছিলেন। থানা থেকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে তিনি আদালতে মামলার আবেদন করেন।
Leave a Reply