দীর্ঘ ৮ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামার অপেক্ষা। গত বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে জিম্বাবুয়েকে আতিথেয়তা দিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, রবিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছাবে ক্যারিবিয়ানরা। ওইদিন সকালেই আবার তাদের বিপক্ষে সিরিজের প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছে বাংলাদেশ দল।এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে রবিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের। তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট খেলতে আসছে বিশাল বহরের ক্যারিবিয়ান দল। বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিমানবন্দর সমন্বয়ক ওয়াশিম খান।
ঢাকায় পৌঁছেই অবশ্য মাঠে নামতে পারছে না সফরকারী দল। কোভিড-১৯ সতর্কতায় প্রথম তিন দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে পুরো দলকে। এই সময়ে হোটেলের বাইরেও বের হতে পারবেন না কেউ। ক্যারিবীয়রা অনুশীলন শুরু করতে পারবে চতুর্থ দিন থেকে, তবে সেট নির্ভর করবে তাদের কোভিড পরীক্ষার ফলাফলের ওপর। চতুর্থ থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত নিজেদের মধ্যেই কেবল অনুশীলন সারতে পারবেন। অষ্টম দিনে গিয়ে নেট বোলার পাবে সফরকারী দলটি।
ঢাকায় পা রেখেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্টকে করোনা পরীক্ষার নমুনা দিতে হবে। দ্বিতীয় পরীক্ষাটি হবে তৃতীয় দিনে। আর তৃতীয় পরীক্ষাটি হবে সপ্তম দিনে, অর্থাৎ যেদিন কোয়ারেন্টিন শেষ হবে। এছাড়া সিরিজের মাঝামাঝি প্রয়োজনে কয়েকবার করোনা পরীক্ষা করা হবে। সব মিলিয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে বিসিবির সামনে।
তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের দুটি ইভেন্ট সফলতার সঙ্গে আয়োজন করে পরিস্থিতির সঙ্গে অনেকটাই মানিয়ে নিতে পেরেছে তারা। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজও সফলভাবে আয়োজন করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বিসিবি। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান তেমনটাই বললেন, ‘জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে আমরা একটু চিন্তিত ছিলাম। আল্লাহর রহমতে আমরা দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট সফলভাবে করতে পেরেছি। তারপরও এ দিকটা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর) আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। আশা করছি, আগের দুটি টুর্নামেন্টের মতো এটাও সফলভাবে করতে পারবো।’
বাংলাদেশ সফরে আসার আগে ওয়ানডে স্কোয়াডে থাকা রোমারিও শেফার্ড করোনা পজিটিভ হয়েছেন। তাই আসা হচ্ছে না এই পেসারের। তার জায়গায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কিয়োন হার্ডিংকে। বিষয়টি নিয়ে আকরামের বক্তব্য, ‘যেহেতু ও আসছে না, ওকে নিয়ে ভেবে তো লাভ নেই। বাকি বিষয়গুলো নিয়ম যেভাবে আছে, সেভাবে হবে। আইসিসি একটা গাইডলাইন দিয়ে দিয়েছে আমাদের চিকিৎসকদের। আমরা সেটার মধ্যেই থাকবো।এদিকে বাংলাদেশে দলেরও প্রথম দফায় করোনার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম পরীক্ষায় সবাই নেগেটিভ হয়েছেন। শনিবার দ্বিতীয় পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। দুই পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়া ক্রিকেটাররা রবিবার ঢুকে যাবেন জৈব সুরক্ষা বলয়ে। তাদের নিয়েই শুরু হবে অনুশীলন। রবিবার সকাল ১০টায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রস্তুতি। টানা চার দিন অনুশীলন করে ১৪ ও ১৬ জানুয়ারি দুই ভাগে ভাগ হয়ে ৫০ ওভারের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়রা। ওই ম্যাচ দুটির পাফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে মূল স্কোয়াড ঘোষণা করবেন নির্বাচকেরা। ২০ জানুয়ারি প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিপক্ষে লড়াই। ২২ ও ২৫ জানুয়ারি হবে সিরিজের বাকি দুই ওয়ানডে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট মাঠে গড়াবে ১১ ফেব্রুয়ারি।
Leave a Reply