আকাশ, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়া সদর উপজেলার বারপুর দক্ষিণ পাড়ায় পিতা হত্যা মামলার বাদীকে অপহরণের পর গলা কেটে হত্যা করে ধানক্ষেতে লাশ গুম করে রেখেছিল হত্যাকারীরা। দুইদিন আগে বৃহস্পতিবার রাতে তারাবিহ নামাজের পর নিখোঁজ হয়েছিলেন মশিউর রহমান সোনা মিয়া (৩০) নামে ওই যুবক। শনিবার (১ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় বগুড়া সদরের বারপুর দক্ষিণপাড়া এলাকায় ধান ক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সোনা মিয়া বারপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেন নান্নু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় বগুড়া সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ছিলেন। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর স্থানীয় মসজিদে তারাবীহ নামাজে যাওয়ার কথা বলে বাড়িতে মোবাইল ফোন রেখে সোনা মিয়া বাড়ি থেকে বের হন। এরপর রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তার কোন সন্ধান না পেয়ে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরের পর সোনা মিয়ার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার বগুড়া সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। পরে শনিবার সকালে সোনা মিয়ার বাড়ির পিছনে ধান ক্ষেত থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন সোনা মিয়ার মরদেহের সন্ধান পান। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে সদর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। নিহত ওই যুবক বগুড়া সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ছিলেন। এছাড়াও তাঁর পিতা মৃত মকবুল হোসেন নান্নু মিয়াকে হত্যা ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বাদী ছিলেন তিনি। প্রায় আড়াই বছর আগে ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামী নিহত সোনা মিয়ার বড় ভাই তোতা মিয়া কয়েক মাস আগে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ঘটনার পরপরই বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হাদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ফয়সাল মাহমুদ, পিপিআই, র্যাবের চৌকশদল,উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু মিয়া, টি এস আই বদিউজ্জামান বদি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সেলিম রেজা বলেন, হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তোতা মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। সদর থানার এস আই বেদার উদ্দীন জানান, সোনা মিয়াকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ধারনা করছে অন্য জায়গায় হত্যা করে ধান ক্ষেতে লাশ ফেলে দিয়ে গেছে হত্যাকারীরা।
Leave a Reply