1. Aktarbd2@ichamotinews.com : ichamotinews : ichamotinews
  2. zakirhosan68@gmail.com : zakir hosan : zakir hosan
ইসলামের দৃষ্টিতে ভোট-জাকিরুল ইসলাম - ইছামতী নিউজ
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন
আপডেট নিউজ :
অশ্লীল ছবির সঙ্গে নারীদের ছবি লাগিয়ে ফেসবুকে প্রতারণা- গ্রেপ্তার ৪ বগুড়ায় প্রতিবন্ধী ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার বগুড়া রামশহরে দোকানঘর সহ বাড়ীঘর পুড়ে ছাই বগুড়া শিবগঞ্জের মহাস্থান মাঠে রায়নগর ইউনিয়ন বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত যুব মহিলা লীগ সদরের সভাপতি আরাফাত জাহান যুঁথীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে বগুড়ায় তৃষ্ণার্ত মানুষে  হাতে সরবত বগুড়ায় ৩৫ বছর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড রায়মাঝিড়া হাইস্কুল মাঠে সালাতুল ইসতেসকা নামাজ আদায় মেলায় অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনের অভিযোগে গ্রেফতার ৫ পাবনা আটঘরিয়ার একাডেমিক সুপারভাইজারের বিদায় সংবর্ধনা বগুড়া জমিতে পানি সেচ দেওয়া কেন্দ্র করে এক পাম্পের মালিক ছুরি আঘাতে নিহত

ইসলামের দৃষ্টিতে ভোট-জাকিরুল ইসলাম

ইছামতী নিউজ
  • Update Time : Tuesday, 23 November, 2021
  • ৪১২ Time View

নিউজডেস্ক | ইছামতী নিউজ.কম

সময় এখন ইউপি নির্বাচনের। নির্বাচনের মাধ্যমেই স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভোটের গুরুত্ব অপরসীম। নেতা/দায়িত্বশীল নির্বাচনে ভোট পবিত্র একটি আমানত। এ ভোট প্রদানের মাধ্যমেই মানুষ ইউপি প্রতিনিধি নির্বাচন করে।
আমার ভোট আমি দিবো, যাকে খুশি তাকে দিবো, ভোট প্রদানে এমন বক্তব্য/মনোভাব ইসলাম সমর্থন করেনা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত একটু পরে লিখছি।

ভোট || ভোট একটি মতামত, একটি রায় ও সাক্ষ্য বিশেষ। প্রধানত মতামত প্রকাশের একটি গণতান্ত্রিক বা প্রজাতান্ত্রিক মাধ্যম বা পদ্ধতি। কোন সভা কিংবা নির্বাচনে সিদ্ধান্ত গ্রহনের লক্ষ্যে ব্যক্তির নিজস্ব মত কিংবা প্রচলিত মাধ্যম। সাধারণ আলোচনা, বিতর্ক ও নির্বাচনী প্রচারনায় এর ভ‚মিকা অপরীসীম।

ভোটার || ভোট প্রদানে অধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ভোটার বলে। রাজনীতিতে ভোট এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে একজন প্রার্থী গনতান্ত্রিক পন্থায় সরকার ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

ইসলামী শরী’আতে ভোট ||
ইসলামী শরী’আতের দৃষ্টিতে ভোটের চারটি অবস্থান –
(১) সাক্ষ্য প্রদান (শাহাদত)
(২) সুপারিশ (শাফাআত)
(৩) প্রতিনিধি নিয়োগ (উকালত)
(৪) আমানত

(১) সাক্ষ্য প্রদান || যেহেতু ভোট একটি রায় বা সাক্ষ্য তাই এ ভোট প্রদানের ব্যাপারে প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন হতে হবে। কেননা অন্যায় করা আর অন্যায়কে সমর্থন করা একই অপরাধ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, নেকী ও আল্লাহভীতির সমস্ত কাজে সবার সহযোগীতা করো এবং গুনাহ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে কাউকে সহযোগীতা করোনা। আল্লাহকে ভয় কর। তাঁর শাস্তি বড়ই কঠিন। (সূরা আল মায়েদাঃ ২ নং আয়াত এর শেষ অংশ)

অন্যত্র আরো এরশাদ করেছেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকো আল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায়সংগত সাক্ষ্য দান করো তাতে তোমাদের নিজেদের বা মাতা পিতার/নিকটবর্তী আত্মীয় স্বজনের বিরুদ্ধে গেলেও (সূরা আন নিসাঃ ১৩৫)
সূরা আত তালাকের ২নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তোমরা আল্লাহর জন্য সত্যের সাক্ষ্য প্রতিষ্ঠা করো।
উপরেল্লিখিথ আয়াতগুলো থেকে দুটি বিষয়ে সুষ্পষ্টরুপে প্রতীয়মান হয়-
(র)সর্বাবস্থায় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকতে হবে।
(রর)সত্য সাক্ষ্য এবং সত্য কথা বলতে পক্ষপাতিত্ব করা যাবেনা।

(২) সুপারিশ (শাফায়াত) || ভোটদাতা প্রতিনিধি নির্বাচনের উদ্দেশ্য কাউকে ভোট প্রদান করার অর্থ হলো, তিনি এই মর্মে সুপারিশ করছেন যে, ঐ প্রার্থীকে প্রতিনিধি মনোনয়ন করা হোক। সুতরাং শরীয়তের দৃষ্টিতে ভোট প্রদান কোন পদের জন্য কোন ব্যক্তির পক্ষে সুপারিশ করার নামান্তর সুপারিশের ব্যাপারে ইসলামের বিধান হলো- বৈধ কাজের জন্য সুপারিশ করলে সুপারিশকারী সাওয়াব পাবে আর অবৈধ কাজের জন্য সুপারিশ করলে গুনাহগার হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- যে ব্যাক্তি কল্যাণ ও সৎ কাজের জন্য কোন সুপারিশ করবে তা থেকে সেও একটি অংশ পাবে। আর যে ব্যাক্তি সুপারিশ করবে অকল্যাণ ওঅসৎ কাজের জন্য সে তার পাপের বোঝারও একটি অংশ পাবে। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাবান। (আল কোরআন নিসা – ৮৫)রাসূল (সাঃ) বলেছেন, কোন ভাল কাজে উদ্ধুদ্ধকারী সেই সওয়াব পাবে যা ঐ নেক আমলকারি পাবে।(তাবরানি)।

(৩) উকালত (প্রতিনিধি নিয়োগ) || ভোটের তৃতীয় অবস্থান হল উকিল নিয়োগে, অর্থাৎ, ভোটদাতা প্রার্থীকে কোনো পরিষদে তাঁর পক্ষ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগের প্রস্তাব করছেন। সুতরাং, শরী’আতের দৃষ্টিতে ভোট প্রদান অর্থ হচ্ছে সম্মিলিত অধিকারের ক্ষেত্রে কোনো পরিষদে নিজের প্রতিনিধিত্বের জন্য উকিল বা প্রতিনিধি নিয়োগের প্রস্তাব করা। এক্ষেত্রে শরী’আতের বিধান হল- কোনো সৎ ও আমানতদার ব্যক্তিকে উকিল বানাতে হবে, বিশেষত কোনো সম্মিলিত অধিকারের ক্ষেত্রে। কোনো জাতীয় পরিষদের প্রতিনিধিত্বে ভোটারের নিজের এবং সেই সঙ্গে পুরো জাতির অধিকার সংশ্লিষ্ট থাকে তাই। কোনো অযোগ্য লোককে প্রতিনিধিত্বের জন্য ভোট প্রদান করা এবং তাকে জয়যুক্ত করা হলে পুরো জাতির হক নষ্ট করার গুনাহ হবে।

(৪) আমানত || ইসলামের দৃষ্টিতে ভোট ব্যক্তির কাছে গচ্ছিত একটি গুরুত্বপূর্ণ আমানত। অর্থাৎ ভোটার তার কাছে গচ্ছিত আমানত তার প্রাপককে প্রত্যর্পণ করছে। প্রতিনিধি নিয়োগের জন্য ভোটাধিকার আল্লাহর পক্ষ থেকে। মুসলমানদের কাছে আমানতস্বরূপ। সুতরাং, শরী’আতের দৃষ্টিতে ভোট দেওয়ার অর্থ হল, আমানত রাখা বস্তুটি প্রাপককে পৌঁছে দেওয়া। আর আমানতকৃত বস্তু তাঁর পাওনাদারের কাছে যথাযথভাবে হস্তান্তর করা ফরয। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন“নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা আমানতসমূহ তার প্রাপকদের কাছে পৌঁছে দাও।” (সুরা : ৫৮)। আমানতকৃত বস্তু তাঁর যথার্থ প্রাপকের কাছে না পৌঁছানো হল আমানতের খিয়ানত এবং তা হারাম। খিয়ানতের ব্যাপারে রাসুল (সা.) অত্যন্ত কঠোর। সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। হযরত আনাস (রা.) বলেন, এমন ঘটনা খুব কমই ঘটেছে যে রাসুল (সা.) কোনো খুতবা দিয়েছেন আর তাতে নিম্নের বাণী উচ্চারণ করেননি“যার মধ্যে আমানতদারি নেই তার মধ্যে ইমান নেই এবং যার মধ্যে প্রতিশ্রæতি রক্ষার তাগিদ নেই, তার ধর্ম নেই।” (বায়হাক্কী)।

প্রতিটি মানুষ সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কোন না কোন বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রত্যেকেরই একে অপরের প্রতি কিছু দায়িত্ব-কর্তব্য ও দায়বদ্ধতা রয়েছে। এ দায়বদ্ধতার বিষয়ে কিয়ামতের দিন প্রত্যেককেই জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে। এ প্রসঙ্গে এক হাদিসে এসেছে, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “সাবধান! তোমরা প্রত্যেকই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককেই (কিয়ামতের দিন) তার দায়িত্ব সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে”।

ভোট দেশের প্রতিটি নাগরিকের একটি গনতান্ত্রিক অধিকার ভোটের মাধ্যমেই জনপ্রতিনিধি নিয়োগপ্রাপ্ত হন। সে হিসেবে ভোটারই নিয়োগ কর্তা। দায়বদ্ধতার জায়গা এখনেই। ভোট মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বন্দার নিকট গচ্ছিত আমানত। পঠিত কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে ঈমানদার বান্দারা! তোমার আল্লাহ তার রাস্তালের সঙ্গে কখনো বিশ^াসতকতা ক করোনা এবং জেনেশুনে নিজেদের আমানতের খিয়ানত করোনা (সূরা আনফাল-২৭)

কাকে ভোট দেবো || যারা ভোট প্রয়োগ করেন তাদের ভোটার বলা হয়। সে হিসাবে বলা চলে, জপ্রতিনিধিদের নিয়োগকর্তা ভোটাররা। ভোট দেয়া শুধু আবেগ বা দলীয় বিষয় নয়, বরং এটি একটি ধর্মীয় বিষয়। সুতরাং জেনেশোনে অসৎ, অযোগ্য ও দুর্নীতিপরায়ণ প্রার্থীকে ভোট দেয়া ইসলামসম্মত নয়। চিন্তাভাবনা করে ভোট দিতে হবে। দলীয় আবেগ, আত্মীয় বা প্রতিবেশী হওয়া ভোট পাওয়ার যোগ্যতার মাপকাঠি হতে পারে না। মূলত ভোট পাওয়ার যোগ্য ওই ব্যক্তিই হবেন, যিনি ইসলামকে ভালোবাসবেন। যার দ্বারা দেশের সম্পদ লুণ্ঠিত হবে না, সমাজে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়বে না, সংখ্যালঘুদের ক্ষতিসাধন হবে না।

নির্বাচন প্রক্রিয়া কেমন হওয়া উচিত : নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ব্যক্তির সততা, যোগ্যতা, আল্লাহ ভীতি, ইমান, জ্ঞান, আমল, চারিত্রিক গুণাবলিকে প্রাধান্য দিয়েছে ইসলাম। তাই ইসলামের দৃষ্টিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হওয়া যেমন প্রয়োজন, প্রার্থী বা নির্বাচিত ব্যক্তিও তেমন সৎ, যোগ্য, জ্ঞানী, চরিত্রবান, আল্লাহ ভীরু, আমানতদার, ন্যায়পরায়ণ, দেশপ্রেমিক, মানবদরদি ও দায়িত্বানুভূতি সম্পন্ন হওয়া তার চেয়ে আরো বেশি প্রয়োজন। তাই জাতীয় কিংবা স্থানীয় নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী দেখে ভোট দিতে হবে। যারা ভোটারদের মিথ্যা কথা বলে লোভ-লালসা দিয়ে প্রলুব্ধ করে, নির্বাচনী বৈতারণী পার হতে মিথ্যা প্রতিশ্রæতি ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়, অন্যায় ও অবৈধ কার্যক্রমে লিপ্ত হয়, ভোট ক্রয়-বিক্রয় করে, জাল ভোট প্রদান করে; তাদের বর্জন করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, ভোটের বিষয়টি শুধু পার্থিব নয়, পরকালেও এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে। মহানবী সা: বলেছেন, ‘প্রত্যেক কাজের সফলতা, ব্যর্থতা, সুফল ও কুফল ব্যক্তির নিয়াতের ওপর নির্ভর করে।” (সহিহ বুখারি)।

১. উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যাবলীর আলোকে যোগ্য ব্যক্তি/দলকে ভোট দেয়া আবশ্যক।
২. একাধিক যোগ্য প্রার্থী/দল হলে সেক্ষেত্রে মহান আল্লাহর বাণী- “তোমাদের মধ্যে সে-ই সর্বোত্তম, যে বেশি তাকওয়াবান”-এর আলোকে সর্বোত্তম ব্যক্তি/ দলকে ভোট দেয়া কর্তব্য।
৩. অনেক সময় এমন হয় যে, প্রার্থীদের মধ্য থেকে।একজনকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতেই হবে, নতুবা। দেশ বেশি খারাপ শাসকবর্গের কবলে পড়বে। কিন্তু, প্রার্থীদের মধ্য থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার মত খুব পছন্দসই কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না কিংবা প্রার্থীদের সবাই অযোগ্য, সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত কম অযোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিতে হবে।
৪. কোন অবস্থাতেই ভোট দেয়ার উপযুক্ত কাউকে পাওয়া না গেলে সুযোগ থাকলে না ভোট দিতে হবে। ‘না ভোট’-এর সুযোগ না থাকলে যোগ্য আলেমের সাথে পরামর্শক্রমে বা মুসলিম নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকা যাবে।

অর্থ/সম্পদের বিনিময়ে ভোট ঃকোন প্রকার অর্থ বা সম্পদের বিনিময়ে কোন অযোগ্য ব্যক্তিকে ভোট প্রদান করা সম্পূর্ণরূপে নাযায়েজ। এতে একত্রে দুটি কবিরা গুনাহ করা হবে।
১. মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান ২. ঘুষ গ্রহণ।

ভোট অবশ্যই দিতে হবে

উপরোক্ত আলোচনা পড়ে প্রশ্ন আসতে পারে যে, তা হলে তো বর্তমান সমাজে অধিকাংশ ইউনিয়নের লোকদের ভোট দেওয়াই সম্ভব হবে না। কারণ, এমন লোক তো পাওয়া যাবে না, যার সপক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করা যায় এবং এ কারণে অনেকে ভোট দেওয়া থেকে বিরতও থাকেন, এমনকি বহু লোক ভোটার হতেও আগ্রহী হন না। সাধারণ বিবেচনায় এ চিন্তা যুক্তিযুক্ত মনে হলেও এক্ষেত্রে কিন্তু মুদ্রার ভিন্ন পিঠও রয়েছে। তা হচ্ছে, মন্দের ভালো বা তুলনামূলক কম ক্ষতিকে বেছে নেওয়া এবং অধিক ক্ষতি থেকে বাঁচার চেষ্টা করা। বর্তমানে ভোটকে এ দৃষ্টিকোণ থেকেই বিবেচনায় আনতে হবে এবং ভোটের মাধ্যমে অধিক ক্ষতি থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে হবে। কোনো ইউনিয়নে একজন লোককেও যদি সাক্ষ্য ও ভোট দেওয়ার উপযুক্ত মনে না হয় তবে তাদের মধ্যে যে জন নীতি-নৈতিকতা, চিন্তা-চেতনা ও কাজে-কর্মে অন্য প্রার্থীর তুলনায় কম খারাপ তাকেই ভোট দিতে হবে। কারো ব্যাপারে যদি খোদাদ্রোহিতা, ইসলাম-দুশমনী, সন্ত্রাস, ইয়াবাসহ রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থ-বিরোধী হওয়ার সুস্পষ্ট আলামত থাকে তবে ঐ অসৎ ব্যক্তির বিজয় ঠেকানোর চেষ্টা করতে হবে ভোটারাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে উপরোক্ত বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করার তৈফিক দিন। ||আমিন||

আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন: www.facebook.com/ichamotinews.it/

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *