জেলা প্রতিনিধি (নীলফামারী): করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ হাত ধোয়া সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনার টিকা দেওয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা দেওয়া হলেও সবাইকে মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কিন্তু নীলাফামারী ডিমলা উপজেলার টিকাদান কেন্দ্র গুলোতে টিকা নিতে আসা মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যাচ্ছে না। আর এ বিষয়ে টিকাদান কেন্দ্র কর্তৃপক্ষও উদাসীন। আজ মঙ্গলবার (১৩ই জুলাই) নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা (স্বাস্থ্য কেন্দ্র) টিকাদান কেন্দ্রের গিয়ে দেখা যায়, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। নেই সামাজিক দূরত্ব, অনেকের মুখে মাস্ক নেই, কারও মাস্ক আবার থুতনিতে অথবা পকেটে। করোনার সংক্রমণ রুখতে দেশে টিকাদান কর্মসূচী চলছে। নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলাটি ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা হওয়ায় এ উপজেলায় (ভারতীয় ধরন) ডেল্টা ভেরিয়েন্টের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশী যা অত্যন্ত ছোঁয়াচে। তাই যেসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র একটি। প্রতিদিন এখানে সকাল নয়টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচী পরিচালিত হচ্ছে। টিকাদান কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত কেন জানতে চাইলে “আমরা চেষ্টা করি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা দেওয়ার জন্য কিন্তু সেটা অনেক সময় নানা কারণেই সম্ভব হয় না” জানিয়ে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (টিকাদান কেন্দ্রের) আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত আনসার সদস্য লাভলু বলেন, এখানে প্রতিদিন ৪০০/৫০০ জনমানুষ টিকা নিতে আসছে। আর সবাই সকাল বেলা চলে আসে, ভিড় করে- আমরা কী করতে পারি? যারা মাক্স পড়ে নি তাদেরকে অবশ্যই মাক্স পড়ে আসার জন্য অনুরোধ সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। টিকা দিতে আসা মানুষজন যে কক্ষে বসেছেন সেখানেও গাদাগাদি করে বসতে হচ্ছে। সেখানে নেই শৃঙ্খলা। অথচ যে কোনও ধরণের ভিড় ও জনসমাগম করোনার এই ঊর্ধ্বগতির সময় নিষিদ্ধ করার কথা বারবার বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ডঃ সারোয়ার আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলতে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি, অতঃপর একটি খুদেবার্তা দিলেও তিনি উত্তর দেননি।
Leave a Reply