বগুড়ার শেরপুরে নাজির হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে পথরোধ করে সাড়ে চার লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ওই ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। একপর্যায়ে মৃত ভেবে সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায় সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীরা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে উদ্ধার করে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত নাজির হোসেন উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের শুভগাছা গ্রামের কছিম উদ্দিনের ছেলে।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত সোমবার রাতে শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার শাফলজানি নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যবসায়ী নাজির হোসেন বলেন, তিনি শহরের বারোদুয়ারি হাটখোলা এলাকাস্থ একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। অন্যান্য দিনের ন্যায় ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়ে শুভগাছা গ্রামস্থ ব্যবসায়িক কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন।

একপর্যায়ে রাত আটটার দিকে শাফলজানি নামক স্থানে পৌঁছামাত্র ৬-৭ জন সশস্ত্র ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে দাঁড়ায়। সেইসঙ্গে তার ওপর হামলে পড়ে এবং তার নিকটে থাকা টাকাগুলো ছিনিয়ে নেয়। এসময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। এতে তার মাথা ফেটে প্রচ- রক্তক্ষরণ শুরু হলে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে আঞ্চলিক সড়কের পাশে তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায় তারা।

এরপর স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় বলে জানান। আহত ব্যবসায়ীর আরো বলেন, তার সঙ্গে কারো কোনো দ্বন্দ্ব নেই। মূলত তার ওপর হামলা চালিয়ে টাকাগুলো ছিনিয়ে নেওয়া হয়। হামলাকারীদের মধ্যে রণবীরবালা এলাকার নাঈম নামের একজনকে চিনতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, ঘটনাটি গুরুতের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানে কাজ করছে পুলিশ। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে এটি হয়েছে নাকি ছিনতাইকারির কবলে পড়েছেন তিনি সেটি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।