বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় মেয়ে পূজা কর্মকার সিথির ছুরিকাঘাতে মা ঝুমা কর্মকার (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ঢাকা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী পূজা কর্মকার সিথিকে (২২) আটক করে পুলিশ সোর্পদ করেছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে চানন্দাইকোনা এলাকায় ঢাকাগামী এসআর পরিবহনে ঢাকা যাওয়ার পথে মেয়ে মাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। ঝুমা কর্মকার শেরপুর পৌরসভার উত্তর সাহাপাড়া এলাকার বিশিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ী শেরপুর জুয়েলার্সের স্বত্তাধিকারী রথীন্দ্রনাথ কর্মকার শিবদাসের স্ত্রী।
জানা যায়, পূজা কর্মকার সিথির দীর্ঘদিন ধরে একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে, তার মা সহ পরিবারের লোকজন ঐ সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় পরিবারের লোকজনের ওপর সিথি ক্ষুব্ধ ছিলো। তাই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৬ অক্টোবর সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এসআর ট্রাভেলস কোচে পূজা কর্মকার সিথি তার মা ঝুমা কর্মককারকে সাথে নিয়ে ইউনিভার্সিটির উদ্দেশে ঢাকা যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা পাবনা বাজার এলাকার দুপুর ১টার দিকে বাসের ভেতর থেকে কাছে থাকা একটি বই জানালা দিয়ে ফেলে দিয়ে বাস থামিয়ে মাকে বই আনতে বলে এবং সিথি নিজেও মায়ের সাথে বাস থেকে নেমে মায়ের পিছনে যায় এবং আকস্মিকভাবে ব্যাগ হতে ছুরি বের করে রাস্তায় মাকে ছুরিকাঘাত করে।
আহত ঝুমাকে হাসপাতালে নেয়ার সময় মেয়ে পূজা কর্মকার সিথি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয়রা জবা দধি ভাণ্ডারের সামনে ভিকটিমকে আটক করে রায়গঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। স্থানীয়রা জানান, পূজার ব্যাগ থেকে একটি ধারালো ছুরি বের করে তার মায়ের বুকের বাম পাশে ও পেটে আঘাত করে, পরবর্তীতপ ঝুমা কর্মকারকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
Leave a Reply