করোনার কারণে অর্থবছরের শেষ চার মাসে কৃষি ছাড়া অন্যান্য খাতের অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রায় স্থবির ছিল, তাই ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অসংগতিপূর্ণ।
প্রথমত, অর্থনীতির অন্যান্য সূচকের সঙ্গে এই প্রবৃদ্ধি সংগতিপূর্ণ নয়, যেমন ভ্যাট আদায়, ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ, ব্যক্তি খাতে ঋণের প্রবাহের সংখ্যাগুলোর সঙ্গে এই প্রবৃদ্ধির সংখ্যা মিলছে না। এ ছাড়া রপ্তানি আয়, উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানি, যা শিল্পের উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, সেসব সূচকের ক্ষেত্রেও আমরা নেতিবাচক চিত্র দেখেছি।
দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পূর্বাভাসও ছিল অনেক কম।
তৃতীয়ত, গাণিতিকভাবে, অর্থবছরের শেষ চার মাসে করোনার কারণে অর্থনৈতিক কার্যক্রম একেবারেই স্থবির ছিল, এই পরিস্থিতিতে সার্বিকভাবে অর্থবছরে সেবা খাতে ৫ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং শিল্প খাতে ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে হলে করোনা–পূর্ববর্তী প্রথম আট মাসে এই দুই খাতে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হওয়া দরকার, যদিও সে ধরনের তথ্য বা ইঙ্গিত আমরা দেখিনি।
সর্বোপরি প্রবৃদ্ধির সংখ্যাগত হিসাব নয়, আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে গুণগত মানের দিকে, অর্থাৎ অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিই হওয়া উচিত মূল লক্ষ্য।
লেখক: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Leave a Reply