কোনো ধরনের কৃত্রিম সার, রাসায়নিক ইত্যাদি ব্যবহার ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসলকেই অরগ্যানিক বলা হয়৷ জৈব সার ব্যবহারে মাটির উর্বরতা দীর্ঘস্থায়ী হয়৷ উৎপাদিত ফসল হয় স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ৷
জৈব সার দিয়ে চাষ করলে প্রথম এক থেকে দু’বছর ফলন কিছুটা কম হবে এতে সন্দেহ নেই৷ তবে চার থেকে পাঁচ বছর পর রাসায়নিক সার দিয়ে চাষ করা জমির তুলনায় ফলন বেশি হবে৷ যে জমিতে সর্বশেষ রাসায়নিক সার ব্যবহার করে চাষাবাদ করা হয়েছে সেই জমি ন্যূনতম তিনবছর পতিত অবস্থায় ফেলে রাখলে বা পুনরায় রাসায়নিক সার প্রয়োগ ছাড়া চাষ করলেই অরগ্যানিক খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব৷ চাষাবাদে ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত রাসায়নিক সারের অবশিষ্টাংশ তিন বছরে ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে৷
বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি হচ্ছে কৃষি৷ এ দেশের ৯০ শতাংশ কৃষকের কাছে মধ্য আশির দশকের আগ পর্যন্ত অরগ্যানিক কৃষি ছিল বেশ জনপ্রিয় তারপর নানা প্রলোভনে কৃষকরা বাধ্য হয়ে রাসায়নিক কৃষিতে ঝুঁকে পড়েছে নব্বইয়ের দশকে৷ বর্তমান বিশ্বে অরগ্যানিক কৃষিতে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে বটে, তবে বাংলাদেশে এর মাত্রা খুবই কম৷ ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ অরগ্যানিক এগ্রিকালচার মুভমেন্ট কৃষকদের জৈব উপায়ে ফসল উৎপাদনে সহায়তা করে৷
Leave a Reply